কক্সবাজারে অতিবৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে অতিবৃষ্টি। এমতাবস্থায় হোটেল-মোটেল জোন এলাকাসহ পুরো জেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত পড়ে। অন্যদিকে একেরপর এক পাহাড়ধসের ঘটনায় দিনদিনই বাড়ছে আহত নিহতের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার(১১ জুলাই) কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার বাজার ও এবিসি ঘোনা, ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকায় পৃথক পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় আহত এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আজ ৩ জনসহ গত সপ্তাহ তিনেক পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পৃথক পাহাড় ধ্বংসের ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একই দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরস্থ ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরিপাড়ার পাতাবুনিয়া এলাকায় পাহাড় ধ্বসে বজল আহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৩৫) মারা গেছে। এসময় আহত হয়েছেন তারই শিশু মোঃ জুনায়েদ(২)। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার জানান, ভাইকে সাথে নিয়ে আমার মা দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলেন। এসময় পাকঘরের উপর পাহাড় ভেঙে পড়লে দুইজনই (মা-ভাই) মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এমতাবস্থায় আশপাশের মানুষ মাটির ভেতর থেকে মা ও ভাইকে বের করে আনার কিছুক্ষণ পর মায়ের মৃত্যু হয়। আহত ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড পূর্বপল্যান কাটা এলাকায় পাহাড় ধ্বসে মোঃ করিমের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩০) মারা গেছেন ৷ এছাড়া ০৭ নং ওয়ার্ড সিকদার বাজার এলাকায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে সাইফুল ইসলামের শিশু পুত্র হাসান(১০) নামের এক শিশু মারা গেছেন।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।আর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’