খুলনা সদর থানার মানব পাচার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছা. শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলনা সদর থানা প্রাঙ্গণে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।তিনি জানান, ২০২০ সালের ১১ মে সকাল সাড়ে ১১টা টার দিকে নগরীর বাইতিপাড়াস্থ “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিকে বাদী মো. আশিক শেখের স্ত্রী মোছা. আশা খাতুন একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। পরবর্তীতে বাদীর স্ত্রী অজ্ঞান থাকা অবস্থায় নবজাতক শিশুটি বাদীর শাশুড়ী মোছা. লাভলী খাতুনের নিকট ছিল। এ দিন বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বিকাল সাড়ে ৬টার মধ্যবর্তী সময়ে আসামী মোছা. শারমিন আক্তার বাদীর শ্বাশুড়ীকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে নবজাতক শিশুটিকে “মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থা মেটার্নিটি” ক্লিনিক থেকে অপহরণ করে। এ সময় তিনি রিক্সাযোগে রওনা করলে রিক্সাচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সন্দেহ হয়, তিনি স্যার ইকবাল রোডস্থ খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে আশপাশের লোকজনদেরকে ডাক চিৎকার দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন এসে আসামী মোছা. শারমিন আক্তারকে নবজাতক শিশুসহ আটক করে। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১২ মে খুলনা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।এ মামলায় আসামি পলাতক ছিল এবং পলাতক আসামি মোছা. শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা খুলনা সদর থানায় ইস্যু হয়। বুধবার খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাত সোয়া ২টার দিকে গৌরাম্ভা এলাকার নিজ বাসা থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছা. শারমিন আক্তারকে নারী পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। বিফ্রিংয়ে কেএমপি’র খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খাঁন এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিমাই কুমার কুন্ডসহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।