রাজধানীর ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার মীরপাড়া হাজী মির্জা আলী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় মিরপাড়া গেস্ট হাউস নামক আবাসিক হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন সোহেল নামের এক ব্যক্তি সে পরিচয় দেয় আমি এই হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার সব দায়িত্ব নিজেই করি।
পুরাতন নামকরণ বাদ দিয়ে এখন ? নতুন নামকরণ হয়েছে মীরপাড়া আবাসিক গেস্ট হাউস, এই আবাসিক হোটেল নামের এ-ই পতিতালয়টি ডেমরা থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে হলেও ওসি বলছেন তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আবাসিক হোটেল/পতিতালয়ের মালিক ও ম্যানেজার বলছেন ভিন্ন কথা তারা বলেন ডেমরা থানার ওসির অনুমতি নিয়েই আমরা হোটেল ব্যবসা চালিয়ে আসছি দীর্ঘদিন থেকে। এ-ই দিকে গত চার জানুয়ারি ২০২৫ সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুই থেকে তিন চার জন ধরে নিয়ে যান।
কে শুনে কার কথা ঠিক আগের সেই রূপে আবার মিরপাড়া গেস্ট হাউসটি , আবার পরিচালনা করেই আসছেন। এইয় মীরপাড়া গেস্ট হাউস আবাসিক হোটেলেটির কর্মকর্তা-কর্মচারী,নারী ও খদ্দেরসহ ৯ জনকে অনৈতিক কাজে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে চারজনকে ।
অভিযানের পরে মীরপাড়া আবাসিক নামক আবাসিক হোটেলটি কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর মীরপাড়া গেস্ট হাউস আবাসিক হোটেল এর মালিক সোহেল সহ আরো কয়েকজন সবাই কে ম্যানেজ করে আবারও চালু করে দেহ ব্যবসা/পতিতালয়টি কিছু দিন চালানোর পর সাথী (ছদ্মনাম)নামের একটি মেয়ে মীরপাড়া গেস্ট হাউস আবাসিক হোটেলে গন ধর্ষন শিকার হয়।
পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার নারী হোটেল মালিক সোহেল কে আসামি করে ডেমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোহেল কে আটক করে ডেমরা থানা পুলিশ এবং মিরপাড়া গেস্ট হাউস আবাসিক হোটেল টি বন্ধ করে দেয় ডেমরা থানা পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর এখন আবারও পূর্বের ন্যায় সবকিছু বাদ দিয়ে আবার মিরপাড়া গেস্ট হাউস নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
এই আবাসিক হোটেলে রমরমা দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছেন হোটেল মালিক সোহেল। মীরপাড়া গেস্ট হাউ আবাসিক হোটেলের দেহ ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বল্লে কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ-ই প্রতিবেদককে বলেন আগে ছিল ফেসী ইন আবাসিক হোটেলে এখন আবার , নতুন ভাবে নামকরণ করছে মীরপাড়া গেস্ট হাউস!
আসলে নামকরণ করলে কি হবে তাদের কর্মকান্ড এবং মাদকসহ অসামাজিক কার্যকলাপ একইভাবে চলতেছে। শুধু তাই নয়, এখানে মাদকের রাম রাজ্য কায়েম করতেছেন, এখানে অসামাজিক কার্যকলাপে রং সাথে একাধিক নেতাকর্মীরা জড়িত আছে বলেই জানান। শুধু তাই নয় এক দালাল কিংবা ম্যানেজার বলেন, আমরা ডেমরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ-ই অসামাজিক ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পরে ও স্থানীয় প্রশাসন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। বাসিন্দারা আরও বলেন মীরপাড়া গেস্ট হাউ আবাসিক হোটেলের (দেহ ব্যবসা) অসামাজিক কাজ বন্ধের জন্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে। মেইন রাস্তার পয়েন্ট অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকসহ যে যুবসমাজ এবং সুশীল সমাজ ধ্বংসের পথে এই অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!
আপনারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এই আবাসিক হোটেল থেকে বন্ধ করার জন্য আপনার দৃষ্টি কামনা করছি। ওই এলাকার লোকজন বলেন আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
পর্ব ১ বিস্তারিত আরও আসিতেছি
(সুমন খানের রিপোর্টে)