দিনাজপুরের বিরামপুরে ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের একজন বাসের চালক, অন্যজন ট্রাকের চালক। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দিওড় বটতলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত বাসচালক গোলাম রব্বানী (৩৮) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগরের আব্বাস আলীর ছেলে। নিহত ট্রাকচালক আবুল কালাম আজাদ (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দিওড় বটতলী বাজারের দোকানদার মানিক মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনাজপুর থেকে লাউ নিয়ে একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে ঢাকা থেকে আসা নাবিল পরিবহনের একটি বাস দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। আজ দিওড় বটতলী বাজারে যানবাহন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়ির ভেতরে চাপা খেয়ে দুই চালকের মৃত্যু হয়। বাসে থাকা অন্তত ১২ জন যাত্রী আহত হন।
খবর পেয়ে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও আহত ১২ জনকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও বাস জব্দ করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে আজ সকাল ৯টার দিকে এম আবদুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে যান দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।