ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ে নাকাল শরীয়তপুরবাসী

admin
এপ্রিল ১৮, ২০২৩ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশে যখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চলছে তখন মানুষের একমাত্র আস্থা বৈদ্যুতিক পাখা। যার মাধ্যমে মানুষ গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার আর উপায় নেই। যেমন পড়ছে গরম তেমনি চলছে লোডশেডিং।

বৈশাখের খরতাপে জীবন যায় যায় অবস্থা। অসহনীয় গরমের মধ্যে শুরু হয়েছে দফায় দফায় লোডশেডিং। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর রাত কোনো নিয়মই মানছে না বিদ্যুতের লুকোচুরি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে দুবির্ষহ হয়ে উঠেছে শরীয়তপুরের জনজীবন। এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে মশার উৎপাত। সব মিলিয়ে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে শরীয়তপুরের মানুষ।

শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, গত রোববার শরীয়তপুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার শরীয়তপুরে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার  তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তীব্র গরমের মধ্যে বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। রাস্তায় বের হলে মনে হয় আগুনের হল্কা এসে গায়ে লাগছে। প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। অবশ্য রাতে ঘরে ফিরেও স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে রাতেও ঘেমে ভিজে নাকাল হচ্ছে মানুষ। রাতে বাইরে কিছুটা বাতাস থাকলেও মশার জন্য বের হওয়া দায়।

শরীয়তপুরের ডোমসারের ইলিয়াস ঢালি (৩৪) নামের একজন ভুক্তভোগী ঢাকা মেইলকে বলেন, ভাই দিনটা যেমন তেমন যায় বিদ্যুৎ তো পাওয়াই যায় না। কিন্তু রাতে ভাই বিদ্যুৎ চলে যায় আর ঘুমাতে পারি না। মসজিদে নামাজে গেলে দেখা যায় নামাজের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে যায়। মুসল্লি বেশি হওয়াতে নামাজ পড়ব কিভাবে জীবন বাচানোই দায় হয়ে যায়। আর ভাই বিদ্যুৎটা মনে হয় নামাজের আর ইফতারের সময়গুলোতেই নেয়। গতকাল সোমবার ইফতার হাতে নেব এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ চলে গেল।

শরীয়তপুরের ডগ্রী এলাকার বাসিন্দা শহীন মুন্সি ঢাকা মেইলকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। তারাবিহ নামাজের সময় আরেক দফা গিয়েছে। রাত ২টার দিকে আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছিল এক ঘণ্টা। আবার ভোর রাতেও লোডশেডিং শুরু হয়।   তখনও ছিল না এক ঘণ্টা।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে ফ্যান চালিয়েও ঘরে থাকা যায় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে মনে হয় ‘ভয়ংকর আজাব’ শুরু হলো। মশার যন্ত্রণায় বাইরে বসেও থাকা যায় না, আর বিদ্যুৎ না থাকাতে ঘরে থাকারও উপায় নেই । এই কষ্ট বলে বোঝাতে পারব না।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জুলফিকার আলির কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, গরমের কারণে চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় আমরা সরবরাহ কম পাচ্ছি। সেজন্য লোডশেডিং।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।