নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়ান পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন চলাকালে আনারস মার্কাার চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় দুটি পাতা মার্কার সমর্থক কর্মীর উপর হামলা বাড়ী-ঘর ভাংচুর। থানায় অভিযোগ!
জানা যায়, গত ২৬ মে/২৩ ইং শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব নাজিম আলম সবুজ-এর দুটি পাতা মার্কার প্রচারকর্মী মোঃ আহসান হাবিব বুলেট প্রচারণা করায় আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ খায়রুল আলম(৪০) ক্ষিপ হইয়া তার সহকর্মী বিপ্লব, মিলন, লিটন, পাইলট, পেয়ারুল ইসলাম, শিমুল হোসেন, খোকন, মাসুদ, কালা শাহিন, লাভলি বেগম, মুকুল হোসেন, উলিন চন্দ্র, সুরেস চন্দ্র, আলমঙ্গীর হোসেন, ইন্না বেগম আর ও অনেকে। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় লাঠি, মোডা নিয়া বুলেট-এর বসতবাড়ীর উঠানে দলবদ্ধ হইয়া অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। এলাকাবাসীরা জানায় তাদের আক্রমনাতক ভাব দেখিয়া বুলেট তার বসতবাড়ীর বাহির গেট বন্ধ করিয়া দেয়। গালিগালাজের এক পর্যায়ে খায়রুল আলম গং বাহির গেটের দড়জা ভাংচুর করতঃ বসতবাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিলে বুলেট প্রাণ ভয়ে বাড়ীর পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। বুলেটকে বাড়ীতে না পাইয়া বুলেটের বাবা তহির উদ্দিন, দুলাভাই মঞ্জুরুল ইসলাম, ভাতিজি নুশারাত জাহান নুপুরকে লাঠি দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে । এলোপাতারিভাবে মারপিট করিয়া ছেলাফোলা জখম করে। নুশারাত জাহান নুপুরকে মারপিট ও ধাক্কাধাক্কির ফলে মাটিতে পড়িয়া গেলে সন্ত্রাসী বিপ্লব পড়নের কাপড় ধরিয়া টানাটানি করে শ্লীলতাহানী করে। শয়ন ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দড়জা, জানালা, আসবাবপত্র ভাংচুর করে মোটা টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঘটনার শোরগোল ও ডাকচিৎকারে প্রতিবেশি খুশি বেগম, সালেমা, মানিক ও বাবলী বেগম আর ও অনেকে দৌড়াইয়া আসিয়া বুলেটের বাবা, দুলাভাই, ভাতিজিকে রক্ষা করেন। খায়রুল আলম গং বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহতদের উপজেলঅ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিশোরগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তঃ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার অনলাইন কোড 94GR4।