বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী সহ নিয়মিত বিস্ফোরক মামলার তদন্ত প্রাপ্ত মোট ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, ২৪ মে (বুধবার) দিবাগত রাতে সারিয়াকান্দি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রৌহদহ এলাকার আলম শেখের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহাব মিয়া (২৬), জোড়গাছা নতুনপাড়ার মুকুল প্রামাণিকের ছেলে বাবু ইসলাম (২০), কুঠিবাড়ি এলাকার মৃত আলিম কাজীর ছেলে বাপ্পি (২৪)কে সর্বমোট ১৮ (আঠার) পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ও ধুনট থানাধীন বরিয়া উত্তরপাড়ার রব্বানী ইসলামের ছেলে সাগর ইসলাম (১৯)কে ০১টি দেশীয় অস্ত্র বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করা হয়।
নিয়মিত বিষ্ফোরক মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামীদের তথ্য নিশ্চিত করে সারিয়াকান্দি থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল আলম বলেন, গত ২৪ নভেম্বর রাতে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৭ জন নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা অনেকের বিরুদ্ধে মামলার ভিত্তিতে বুধবার (২৪ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে পৌর এলাকার আন্দরবাড়ী ০৬ নং ওয়ার্ড থেকে মুঞ্জিল প্রামানিকের ছেলে আঃ হান্নান ওরফে হিটলার (২৭), বাড়ইপাড়া ০৮ নং ওয়ার্ড থেকে মফা প্রামানিকের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদ (২৩), বিবিরপাড়া থেকে মৃত কছির প্রামানিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে ঠান্ডু (৬৫), কুতুবপুর পূর্বপাড়া থেকে জহুরুল হকের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫), কুতুবপুর পূর্বপাড়ার মৃত সরাফত আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম আকন্দ (৫৩), একই এলাকার মোঃ তুলু মোল্লা (৫২),চর হরিণার মৃত গেদা প্রামানিকের ছেলে মাহিন প্রাং (৩৫) কে আটকা করা হয়।
এছাড়াও ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫১ ধারার আসামী গাবতলি থানাধীনতেলিহাটা সুখানপুকুর এলাকার মিজানুর রহমান মিঠুর ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), একই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (১৯)কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সারিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সারিয়াকান্দিতে মাদক ও সন্ত্রাস রুখে দিতে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ সর্বদা সোচ্চার রয়েছে। মাদকসেবী থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যথার্থ প্রমাণ সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে উঠতি তরুনদের মাঝে দেশীয় অস্ত্রের যে প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা রুখে দিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল টিমের মাধ্যমে নজরদারি নিশ্চিত করা হচ্ছে।