তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন আবহাওয়ায় অস্বস্তিতে ছিলেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটক ও স্থানীয়রা। তবে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটন এলাকায়।
এদিকে অসহ্য গরমের পর বৃষ্টি উপভোগ করতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা মেতেছেন আনন্দ উল্লাস ও সমুদ্রস্নানে। গত মে মাসের শুরুর দিকে দু’দিন বৃষ্টি হলেও আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি উপকূলীয় এলাকায়। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না থাকায় অস্বস্তিতে ছিলেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।
সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুর নাগাদ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে। তবে ফের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা আরিফ রহমান বলেন, আমি গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি। গতকাল গরমে পরিবার নিয়ে অনেক অতিষ্ঠ ছিলাম। কিন্তু সকালে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।
কুয়াকাটা এলাকার অটোচালক কুদ্দুস বলেন, গত একমাস আগে বৃষ্টি হয়েছে। এতদিন রাস্তায় নামতে পারতাম না। আজকে আকাশে মেঘ, একটু ঠান্ডাও আছে। আগের মতো থাকলে আমাদের অনেক কষ্ট হতো।
অপরদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী এলাকায় ১১.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা আবহাওয়ার এই অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই সকল মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, সকাল থেকে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ায় পর্যটকরা আনন্দে গোসলে নেমেছেন। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।