পটুয়াখালীর দুমকিতে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে ৫নং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য প্রার্থী লাকি বেগমের মনোনয়ন ফরম জমা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে (১৮ জুন) ফরম জমা দিতে লাকি বেগম উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে গেলে লাঞ্চের অযুহাতে তার মনোনয়ন জমা নেননি। বিকেল ৪টায় ফের নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে সামনে গেলে সময় শেষ হওয়ার অযুহাতে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম জমা দিতে অফিসে ঢুকতে দেয়নি নিরাপত্তাকর্মীরা।
দুমকিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ৫নং শ্রীরামপুর ইউপি নির্বাচনে (১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য প্রার্থী জোনাব আলী সিকদারের মেয়ে ও মো. খলিলুর রহমানের স্ত্রী লাকি বেগম এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন অফিসার উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার মনোনয়ন ফরম জমা নেননি। রোববার বেলা সোয়া ১টায় মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গেলে ওই অফিস গেটের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রথমে ঢুকতে বাধা দিয়ে তাকে আড়াইটার পরে যেতে বলা হয়। একাধিকবার নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দিতে যাওয়ার সিসি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। পরে গেলে বিকেল ৪টা অতিক্রম হওয়ার অযুহাত দেখিয়ে তার মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল-ইমরানকে জানানোর পর ইউএনও সাহেবের বিশেষ বিবেচনায় মনোনয়ন ফরমটি জমা নিতে বললেও তিনি (নির্বাচন অফিসার) তা শোনেননি। এ বিষয়ে পরের দিন জেলা প্রশাসন, জেলা নির্বাচন অফিসারের স্মরণাপন্ন হলেও মনোনয়ন জমা সংক্রান্ত সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। এ ঘটনায় লাকি বেগম নির্বাচন অফিসার সুমন মিয়াকে দায়ী করে সুবিচার দাবি করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সুমন মিয়া বলেন, মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পরে আসায় তার (লাকি বেগম) ফরম জমা নেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, সোয়া ১টায় লাকি তার অফিসে যাননি। লাকি বাইরে ছিলেন কিনা তা তার জানা নেই।