বাউফলের বগা বন্দরের ইউনিক কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে সোহাগ হাওলাদারের ওয়ার্কশপে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দোকান মালিক সোহাগ হাওলাদার (৩০) ও হেডমিস্ত্রী লিটন (৩৬) দগ্ধ হয়েছেন।
আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া বরিশাল থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (১৯ জুন) বেলা ১২টায় বগা বাজারে সোহাগ ওয়ার্কশপে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কাজ করছিলেন ওয়ার্কশপের মালিক সোহাগ হাওলাদার এবং তার মামা লিটন। কাজ করার একপর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে সোহাগসহ তার মামার শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। হেডমিস্ত্রী লিটন ঝালাই কাজ করার সময় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফারণ হয়। এ সময় সোহাগ ও লিটন দগ্ধ হয়। গ্যাস সিলিন্ডারের লোহার প্লেটগুলো টুকরো টুকরো হয়ে দেয়াল ভেদ করে পাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কয়েকটি থাই জানালার গ্লাসে আঘাত হানে।
গ্যাস সিলিন্ডারে বিকট শব্দে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোহাগের অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। সোহাগ হাওলাদারের বাড়ি একই উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম নুরুল হক হাওলাদার।
বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছান হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বরিশাল পাঠাই। বর্তমানে সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল থেকে ঢাকা নেয়া হচ্ছে। তার শরীরের অনেক অংশ আগুনে পুড়ে গেছে।’
পটুয়াখালী বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।