পুলিশ বলছে, জামিনের কাগজ দেখাতে পারেননি কলেজছাত্র আশরাফুল হাওলাদার। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাবি, কাগজ দেখানোর পর ছিঁড়ে ফেলেছে পুটয়াখালী সদর থানা পুলিশ। দাবি করা হয়েছে টাকাও। সত্যতা যাচাইয়ে ওসির কল রেকর্ড তলব করেছেন দেশের উচ্চ আদালত।
রোববার (১৮ জুন) পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও এএসআই মিজানুর রহমান হাজির হন হাইকোর্টে। তাদের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, গ্রেফতারের সময় কোনো কাগজই দেখাতে পারেননি কলেজছাত্র আশরাফুল। বাকি অভিযোগও ভিত্তিহীন।
সাংবাদকিদের তিনি বলেন, ‘ক্ষমা চেয়ে আমরা বলেছি যে কাগজ দেখাতে পারেননি ওই কলেজছাত্র। তখন আদালত তাদের কল রেকর্ড তলব করেছেন।’
যদিও ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীর দাবি, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার কাগজ দেখানো হয় পুলিশকে। তারা সে কাগজ ছিঁড়ে ফেলে এবং বাসা থেকে ধরে এনে পরদিন আদালতে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে তার কাছে টাকা দাবি করা হয়।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে নেয়া জামিনের কপি দেখানোর পর ওসি সেটা ভালো করে দেখেননি। একটু দেখেই বলেন, হাতে হ্যান্ডকাপ লাগাও। আমি বললাম, কেন? আমি তো জামিন নিয়েছি। তখন তিনি বলেন, এখানে হাইকোর্ট আমরাই! ঢাকার হাইকোর্ট ঢাকার জায়গায়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে: দায় না থাকলে কেন দুই পুলিশ সদস্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন?
শুনানিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আগাম জামিনের তথ্য অনলাইনে থাকার পরও আদেশের কপি কী করে ছিঁড়ে ফেলে পুলিশ। বিষয়টিতে কারও গাফিলতি থাকলে ছাড় দেয়া হবে না। পরে ওসির কল রেকর্ড তলব করেন হাইকোর্ট।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রের আইনজীবী বলেন, ‘আশরাফুল আমাকে ফোনে বলেছেন যে তাকে থানায় আটকে রাখা হচ্ছে। তখন ওসির ফোন নম্বরটা চেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ওসির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান যে তিনি ব্যস্ত আছেন এবং বিষয়টি পরে দেখবেন।’
এদিকে আগামী ২৩ জুলাই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আবারও হাজির হতে হবে। সেদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।