ঢাকাশনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকাশনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার মোঃজুয়েল মিয়া
জুন ২১, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর, দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাত ২টায় সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর রাবার ড্যাম উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হয়নি এবং কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন, বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি (একাংশ) শফিকুল ইসলাম (অবঃ প্রাপ্ত সেনাবাহিনী সৈনিক)।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ভাই এবং তাঁর লোকজন স্থানীয় আ.লীগ অফিসে ঢুকে ফেসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করার অনুরোধ করেন। ফেইসবুক স্ট্যাটাস ডিলেট করা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরে আওয়ামীলীগ নামধারী শফিকুল ইসলাম জফির (আর্মি)। শফিকুল ইসলাম আর্মির ছোট ভাই চিহ্নিত ভারতীয় চোরা কারবারী মো.জাকির হোসেন জকির শনিবার রাতে নিজেই জাতির পিতার ছবি ভাংচুর ও দলীয় ফেস্টুন ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সুরমা ইউপি আ.লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, রাবারড্যাম প্রকল্পের অনিয়ম দুর্ণীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ও তার লোকজন মিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা অফিসঘর এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে। আমার বোনের উপরও তারা হামলা করে।

সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ তার বিরেুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারধর, অফিস ভাঙচুরের কোনো ঘটনা আমাদের কেউ ঘটায়নি। নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে এখন আমাদের ঘায়েল অপচেষ্টায় লিপ্ত। শফিকুল ইসলাম ২০১১ সালেও নিজেরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে অন্যদের ঘায়েল করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করায় আমি এর বিচার ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় রোববার মহব্বতপুর বাজারে চেয়ারম্যান পক্ষ এবং উপজেলা সদরে আ.লীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে বরকত নগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিলেট কোতায়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন রশীদকে গ্রেপ্তার করে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর বলেন, মহব্বতপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর এবং হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।