আসামীদের সাথে ভিকটিমের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ০৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ আসামী কুদ্দুছ শেখসহ তার সহযোগীরা ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিম স্মৃতি বাছারকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে হাত-পা বেঁধে বাড়ির পাশে মেহগনী বাগানে ফেলে দিয়ে আসামীরা চলে যায়। সেখান থেকে তার ছেলে ও স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয় এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে। আসামীরা জামিনে বের হয়ে গত ২১ মে ২০২৩ তারিখ রাতে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ পাশের বাদাম ক্ষেতে ফেলে দেয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে পেরে র়্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র়্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনা ও র্যাব-৪ (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ০৩ জুন ২০২৩ তারিখ উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। কুদ্দুস শেখ(৬০), থানা-মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র়্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় হস্তান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন।