গত ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর আয়োজনে পটুয়াখালীতে শুরু হয় মাসব্যাপী শিল্প ও বানিজ্য মেলা। মেলায় বসেছে নানা ধরনের খাবার, কসমেটিকস, জামাকাপড় সহ বিভিন্ন দোকানপাট। এছাড়া বাচ্চাদের বিনোদনের জন্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড। ভুতের বাড়ি, সার্কাস, মোটরসাইকেল প্রদর্শনীসহ রয়েছে চোখ ধাধানো মন-মাতানো হরেক রকমের বিনোদনের বিষয়াদি।
তবে মেলায় ঘুরতে আসা মানুষদের কাছ থেকে এসব বিনোদনের নামে বেশ কিছু রাইডিংয়ে অল্প সময়ে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায় পটুয়াখালীতে চলমান বানিজ্য মেলায় বিভিন্ন রাইড এর সামনে শিশুদের কান্নাকাটি আর শিশুদের বাবা-মায়ের মুখে ফুঁটে উঠে সন্তানের আবদার না মিটানোর যন্ত্রণা। প্রতি পাঁচ মিনিট যেকোনো রাইডের টিকিট মূল্য নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। এতো অল্প সময়ের রাইডে বেশি টাকা নেওয়ায় অনেক শিশুর বাবা-মা পারছেন না তাদের ছেলে মেয়েদের আবদার পূরণ করতে।
এছাড়াও রয়েছে নাগরদোলা, নৌকা, ট্রেন, ভুতের বাড়ি এই সকল বিনোদনের টিকিট নেওয়া হচ্ছে পঞ্চাশটাকা এতে দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত সময়।
তবে বাচ্চাদের রাইডে টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত। কেনো এত অল্প সময়ের বিনিময়ে এত টাকা নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াটার বোর্ড, ওয়াটার বল এবং সিলিপার রাইডের মালিক মো: বাদশা জানান, চেম্বার অব কমার্সকে অবহিত না করে আমি এই ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
শিরিন শারমিন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, আমার বাচ্চার বয়স ৫ বছর তার ইচ্ছে হয়েছে সে একটা রাইডে উঠবে টিকিট কাউন্টারের যখন জিজ্ঞেস করি টিকিট কতো বলা হচ্ছে ৫ মিনিট একশত টাকা। এতো অল্প সময়ের বিনোদনে এতোটাকা দিয়ে উঠানো সম্ভব না আমাদের পক্ষে। ছোট বাচ্চার কান্নাকাটি দেখে উঠাতে হচ্ছে, অল্পসময় এতো টাকা করা উচিত না আমি মনে করি এটা একপ্রকার তেঁতুল দেখিয়ে জিভে জল আনার মতো।
নিলুফা নিলু নামের একজন ভুক্তভোগী জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার, আমাদের বাচ্চারা যখন কান্নাকাটি করে এই সব রাইডে ওঠার জন্য তখন নিরুপায় হয়ে বাচ্চার কান্নাকাটি দেখে উঠাতে হয়। আসলে এতো অল্প সময় এতো টাকা টিকিট নেওয়া রীতিমতো ডাকাতি।
তবে এ বিষয়ে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি এ বিষয়ে জানতাম না। আমি দ্রুত এই রাইডগুলোর সময় বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দ্রুত এই সমস্যার যাতে অবসান ঘটে এমটাই দাবি মেলায় ঘুরতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর।