সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির খোকার বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের জনৈকা শিক্ষিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোয়ারাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা। ১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির খোকা নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত যুক্তিবিদ্যার জনৈকা শিক্ষিকার (প্রভাষক) সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে নাছোরবান্দা হয়ে ওঠেন। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে গত এক বছর ধরে যৌন নির্যাতনসহ তাকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি। সম্ভ্রমহানির ভয়ে ও সতীত্ব রক্ষার্থে প্রধান শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে এক সন্তানের জননী ওই শিক্ষিকা (প্রভাষক) সমাজে মুখ না খুলে কৌশলগত ভাবে তাকে এড়িয়ে চলেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক খোকা। এরই ধারাবাহিকতায় যৌন লালসা সামলাতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে ওই শিক্ষিকাকে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে আনেন। অফিস কক্ষে প্রবেশ করা মাত্রই তাকে (শিক্ষিকা) ঝাপটে ধরে মুখ চেপে ধরে মেঝেতে শুইয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টা চালান প্রধান শিক্ষক খোকা। জবরদস্তির এক পর্যায়ে তার শোর চিৎকারে ভিন্ন কক্ষ থেকে সহকর্মী শিক্ষকসহ গংরা ছুটে এসে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করেন।
সরেজমিনে গেলে নির্যাতিতা ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা প্রতিবেদককে বলেন, মানুষরূপী হিংস্র হায়েনা প্রধান শিক্ষক খোকা তার অফিস কক্ষে আমাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। জবরদস্তির এক পর্যায়ে আমার শোর চিৎকারে আমার সহকর্মী শিক্ষক গংরা আমাকে উদ্ধার করায় আমার সতীত্ব রক্ষা করতে সক্ষম হই। গত এক বছর ধরে নানা কৌশলে আমি তাকে এড়িয়ে চলছি। আমি এখন মানুষরূপী হায়েনা ওই লম্পট শিক্ষকের অপসারণ সহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। পক্ষান্তরে আমি নিজেকে একজন আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে সমাজে বাঁচতে চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির খোকার মুঠোফোনে (017111***28) বারংবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।