পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. সাহিদা আক্তার অনলাইন বদলি কার্যক্রমের মাধ্যমে মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হন।
দীর্ঘ ৮ মাস ধরে ওই বিদ্যালয়েই বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক মারা যাওয়ার পর নিজের বদলি ঠেকাতে ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হতে নানা কৌশলে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয় দক্ষিণ-পশ্চিম মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. মাহমুদা বেগম প্রথমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরবর্তীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. সাহিদা আক্তার গত ৮ মাস আগে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের মাধ্যমে মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে চিঠি দিয়ে তাকে গত ১৩ নভেম্বর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য বলা হয়। কিন্তু সে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান না করে পুরাতন কর্মস্থল দক্ষিণ পশ্চিম মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোরপূর্বক অবস্থান করছেন। এছাড়াও গত ১১ নভেম্বর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আলম মারা গেলে ওই শিক্ষিকা নিজেকে প্রধান শিক্ষিকা দাবি করেন এবং বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে গত ১৪ জুন নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য তাকে পুনরায় লিখিত নির্দেশ দেওয়ার পরেও, তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে জোরপূর্বক ওই স্কুল রয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোসা. সাহিদা আক্তার মোবাইলে বলেন, প্রধান শিক্ষক মারা যাওয়ার পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে বদলি আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে বলেন। পরে আমি বদলি প্রত্যাহারের আবেদন করি এবং তার মৌখিক আদেশে আমি পূর্বের স্কুলে অবস্থান করছি।
এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক বলেন, ওই শিক্ষিকা নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারা যাওয়ায় শিক্ষক সংকটের জন্য সে ওখানেই রয়ে গেছেন। তিনি বদলির আদেশ প্রত্যাহারের জন্য মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন। যা এখনো কার্যকর হয়নি। তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য পুনরায় চিঠি প্রদান করা হয়েছে। সে যদি সরকারি আদেশ অমান্য করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।