নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ করার অভিযোগে দুইটি আলাদা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামের দুই এলাকায় এ অভিযানকালে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুদকের (জনসংযোগ) কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে পটুয়াখালী দুদক অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বুধবার (৫ জুলাই) অভিযানকালে একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের প্রতিনিধি নিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মোল্লাহাটে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সড়ক পরিদর্শন করা হয়।
পরিদর্শনে দেখা যায়, রাস্তাটি মূলত আরসিসি গার্ডার সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক। নির্মাণ নিয়ে আপত্তি তোলায় বর্তমানে নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজটি এখনও চলমান থাকায় নির্মাণাধীন কাজ সঠিকভাবে বুঝে নিয়ে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলা দুদক কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ব্রিজটি পরিদর্শন করে এনফোর্সমেন্ট টিম। এসময় স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম জানতে পারে মূলত বর্ষার পানির স্রোতের কারণে ব্রিজটি ২ ইঞ্চি দেবে গিয়ে স্ল্যাভ তৈরি হয়। প্রকল্প পরিচালক, সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ও নির্বাহী প্রকৌশলী ব্রিজটি পরিদর্শনের পর ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বিবেচনায় নির্মাণাধীন ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্মাণাধীন কাজ সঠিকভাবে বুঝে নিয়ে ঠিকাদারকে পূর্ণাঙ্গ বিল পরিশোধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে দুদক।