মাগুরার শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. রাবেয়া খাতুন সুমি ও তার পরিবারের ৩ সদস্য মারাত্মক আহত হয়েছেন। আহত আইনজীবী শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে আইনজীবী সুমি বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২২ জুন আদালতের নোটিশ বাদীর বাড়িতে যাওয়ায় ওই আইনজীবীর পরিবারের উপর হামলা করে প্রতিবেশী শহর আলী মণ্ডল ও তার ছেলে অপু মণ্ডল। এ ঘটনায় সুফিয়ার শেখ (৫৫) মারাত্মক আহত হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো হামালার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘসিয়াল ব্রীজের সামনে মিরুলের চায়ের দোকানের পাশে গ্রাম্য শালিস বসে। শালিসের মাঝে সাহরিয়ার অপু, তৌফিক ইমাম বাঁধন, শহর মণ্ডলসহ প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ব্যাচলেটসহ নগদ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পরশ মণ্ডল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
হামলায় আহত অন্যরা হলেন- তার বড় বোন মনোয়ারা বেগম (৬৮), ভাতিজা মিরাজ হোসেন (১৯) ও মুরাদ হোসেন (১৫)। আহত আইনজীবীকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এ্যাড. রাবেয়া খাতুন সুমি বলেন, জমিজমা বিষয়ে প্রতিবেশী শহর আলীর সাথে আমার আদালতে একটি মামলা চলছে। এর আগে আদালত থেকে সমন আসায় তারা আমার পরিবারের উপর হামলা করে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। পরবর্তীতে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসে বসে। শালিসের মধ্যেই ওরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে, আমার বোন ও ২ ভাতিজাকে তারা মেরে মারাত্মক আহত করে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অপু মণ্ডল বলেন, শালিসের মধ্যে উনারাই আমাদের উপর চড়াও হয়েছে। এ সময় মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ঘটনার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিলো। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা রজু হয়েছে।