ঢাকাশনিবার, ৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকাশনিবার, ৫ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিরোধের জেরে সাড়ে তিন বিঘা জমির ধানের চারা উপড়ে ফেলে প্রতিশোধ

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধি
জুলাই ৯, ২০২৩ ৬:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি কেনা-বেচার বিরোধের জের ধরে ২৫ দিন বয়সের সাড়ে তিন বিঘা জমির ধানের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (০৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ধানের চারা উপড়ে ফেলা হয়। সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের ছোট মরাপাগলা নামক মাঠে সদ্য রোপন করা চারা উপড়ে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাগচর গ্রামের রহমানের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (৪০) সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে ধানের চারা রোপন, সার, পানি ও শ্রমিক খরচ বাবাদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের।

কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর বিদেশে থাকার সুবাদে জমানো টাকা দিয়ে ছোট মরাপাগলা এলাকার একটি আবাদি জমি কেনার জন্য ১ লাখ টাকা বায়না দেয়। সাড়ে তিন বিঘা জমির জন্য ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম ধায্য করে বায়না নেয়ার তিন মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার অঙ্গীকার করে টিকরামপুর এলাকার মো. জাফরের তিন ছেলে-মেয়ে মো. বাদশা (৫০), মইদুল ইসলাম (৪৫) ও মোসা. সোনাভান (৩৫)। কিন্তু আমাকে না রেজিস্ট্রি দিয়ে প্রতারণা করে তারা ছোট মরাপাগলা গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে মো. কালামের কাছে দলিল মূলে হস্তান্তর করে।

তিনি আরও বলেন, আমার বায়নামাকৃত জমি ভোগ দখলে থাকা স্বত্ত্বেও তারা সেই জমি কালামের কাছে রেজিস্ট্রি করে দেয়। পরে এনিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিসে মোট ৯ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার সীধান্ত হয়। সেসময় এক লাখ টাকা দিয়ে বাকি ৮ লাখ টাকা তিন মাস পর দেয়ার কথা হয়। এর বিনিময়ে আমাকে সেই জমিতে ধান চাষাবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়। পরে আমি ধানের চারা রোপন করি। এরপর দল কালামসহ তার লোকজন নিয়ে এসে আমার রোপন করা ধানের চারা উপড়ে ফেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাকে ধান লাগাতে বলেও ধান রোপনের ২৫ দিন পর জোরপূর্বক দখল করতে ধানের চারা উপড়ে ফেলা আমার উপর জুলুম। বাধা দিতে গেলে আমাকে নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে বেঁচেছি। আমি এর বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ চাই প্রশাসনের কাছে।

পাশের জমির কৃষক রহমত আলী জানান, হঠাৎ করেই কিছু লোকজন এসে ধানের চারা উপড়ে ফেলা শুরু করে। তাদেরকে আমি মানা করলেও তারা শুনেনি। উল্টো আমাকে এবিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করে। এটা অন্যায় হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এবিষয়ে কথা বলতে নারাজ আবুল কালাম ও জাকারুল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।