গঙ্গাচড়া উপজেলায় স্বামীর পরকীয়া নিয়ে ঝগড়ায় সন্জিতা রানী (২২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে পরকীয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শেষে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।নিহত সন্জিতা রানী জলঢাকা উপজেলার নলঝুড়ি গ্রামের অমল চন্দ্রের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, সন্জিতা তার স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছিলেন। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এমনকি স্বামীর সঙ্গে থাকা পরকীয়া প্রেমিকার পরিচয় সন্জিতা তার পরিবারকে জানায়।
সন্জিতার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে সন্জিতা ও অর্জুন চন্দ্রের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে।এর আগেও ময়মনসিংহ জেলার এক মুসলিম মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে আনেন অর্জুন চন্দ্র। প্রেমের সম্পর্কের পূর্ণতা পেয়েও তাদের সাংসারিক জীবনে সুখসাচ্ছন্দ্যের দেখা মেলেনি। পরকীয়ার জেরে কলহ বিবাদ এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতিও লাগতো নিত্যদিন।একপর্যায়ে অর্জুনকে ছেড়ে চলে যায় প্রথম স্ত্রী। তবুও পরকীয়া ছাড়তে পারে নি অর্জুন চন্দ্র।
ঘটনার দিন সকালে অর্জুন চন্দ্র এ বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্জিতাকে মারধর করে। ক্ষোভে সন্জিতা রানী ঘরে রাখা কীটনাশক পান করেন।
নোহালী ইউনিয়নের কাচারী পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা অমল চন্দ্রের দ্বীতিয় ছেলে অর্জুন চন্দ্র ও তার পরিবারের লোকজন সন্জিতার অসুস্থতা দেখেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে তার বাবার বাড়িতে খবর দেয় এবং তার চাচাতো ভাই প্রশান্ত জলঢাকা উপজেলার নলঝুড়ি গ্রাম থেকে ছুটে এসে প্রায় ২ ঘণ্টা পর গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক সন্জিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।