র়্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সাথে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৪ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ অনুমান ১৪.৪০ ঘটিকায় র়্যাব-১৫, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চৌকস আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলাম নগরের বাস স্টেশন এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে মাদক বিরোধী তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এ সময় চট্টগ্রাম টু কক্সবাজারগামী মারসা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস (যাহার রেজিঃ নং-চট্ট মেট্রো-ব-১১-১৩২০) এর দুইজন যাত্রী র্যাবের তল্লাশী অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে সন্দেহজনক ভাবে বাস থেকে নেমে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাবের আভিযানিক দল তাদেরকে আটক করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের ব্যাগ ও ট্রলি ব্যাগ তল্লাশী করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ২৯ (ঊনত্রিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত পরিচয় ১। মোঃ আরাফাত হোসেন (২৮), পিতা-মৃত সাখাওয়াত হোসেন, সাং-তাজনিমার খোলা, থানা-উখিয়া এবং ২। মিনু আরা বেগম (৩৫), স্বামী-মোঃ সেলিম, সাং-খুরুলিয়া, থানা-কক্সবাজার সদর, উভয় জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবত মাদক কারবারের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন কৌশলী পন্থা ও প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দা/পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মাদক স্থানান্তর করে বিক্রয় করে আসছিল। অদ্য উপরোল্লিখিত মাদকদ্রব্য গাঁজা কক্সবাজারে বিক্রয়ের জন্য যাত্রী সেজে চট্টগ্রাম হতে আসার সময় অভিযানস্থলে র্যাবের আভিযানিক দলের নিকট ধৃত হয়।
ধৃত মিনু আরা বেগম একজন চিহ্নিত মহিলা মাদক ব্যবসায়ী। সে পূর্বেও গাঁজাসহ র্যাবের নিকট ধৃত হয় এবং এ সংক্রান্তে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৯(গ)/৪১ ধারায় কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার মামলা নং ১৬, তাং ০৮/০৯/২০২২ খ্রিঃ।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ ধৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।