কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চারদিকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রে পানির উচ্চতাও বেড়েছে। এ বৈরী আবহাওয়ায় কুয়াকাটা আগত পর্যটকরা নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকে বাতিল করছেন বুকিং।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে কুয়াকাটা সৈকত এলাকার বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টির শুরু থেকেই কুয়াকাটায় কমতে শুরু করেছে পর্যটক। সোমবার (৭ আগস্ট) সকালেও অনেকে কুয়াকাটায় আসেন। তবে আজ সেই সংখ্যাটা তলানিতে। উল্টো যারা বর্তমানে কুয়াকাটায় রয়েছে তারাও ছাড়ছেন কুয়াকাটা।
লাবু নামের একজন পর্যটক বলেন, আমরা গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি। যখন আসছিলাম তখনো বৃষ্টি ছিল। ভেবেছিলাম বৃষ্টি কমে যাবে। তবে আজ যা অবস্থা বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাই চলে যাচ্ছি।
নোমান নামের আরেকজন বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে রোববার কুয়াকাটায় এসেছি। ৪-৫ দিন থাকার ইচ্ছা ছিল। দুদিন অপেক্ষা করেছি বৃষ্টি থামে কি না দেখার জন্য। আজকের আবহাওয়া দেখেও মনে হচ্ছে না যে বৃষ্টি থামবে। তাই বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছি।
হোটেল সাউথস্টারের পরিচালক মোহাম্মদ অপু বলেন, আমাদের হোটেলে ২০টি রুম। গতকালও ১০টি বুকিং ছিল। আজ মাত্র পাঁচটি বুকিং আছে তাও বিকেলে চলে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে কাল থেকে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট শূন্য হয়ে পড়বে।
গত কয়েকদিন ধরে কুয়াকাটায় পর্যটক আগমনের সংখ্যা কম বলে জানান ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, যারা আসছেন তারাও আজ চলে যাচ্ছেন। হোটেল-মোটেলগুলোতে বুকিং বাতিল হচ্ছে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত পর্যটকদের আগমন বাড়বে না।ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, অনেক পর্যটক ঢেউ দেখতে কুয়াকাটায় আসেন। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় তাদের সৈকতে নামতে সতর্ক করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলাপাড়ায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আকাশে মেঘ এবং মেঘের গর্জন বাড়তে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।