ঢাকাশনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকাশনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজধানীর মিরপুর শাহ্আলীতে মটর পার্টস ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

আলী আফজাল আকাশ
অক্টোবর ২৪, ২০২৩ ১১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গত ২১/১০/২০২৩ ইং তারিখ শনিবার রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী থানা এলাকায় ফুটপাতের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরে পরিকল্পিতভাবে শেখ ওমর ফারুক (৪০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে নিহত ওমর ফারুকের মা বাদী হয়ে শাহআলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে এজাহার নামীয় দু’জনসহ মোট তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে শাহআলী থানা পুলিশ।

জানা যায়, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৯.৪০ ঘটিকার সময়ে ওমর ফারুক তার গাবতলী মটর পার্টসের দোকান থেকে তার মিরপুর-১/ডি-ব্লকের,৩নং-রোডরে ৩৫ নং বাসায় ফেরার পথে বাসার অদূরে-ই আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মো. মিম (২৬), মো. সৌরভ(২৮), মো.সৈকত(২৬), মো. আবু হানিফ রনি(২৬), মো.লিয়ন(২৭) মো. রোমান (৩২) ও অজ্ঞাত কয়েকজনের সম্মিলিত হামলার শিকার হয়। উল্লেখিত আসামিদের এলোপাতাড়ি লাথী-কিল-ঘুষিতে ওমর ফারুক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন ওমর ফারুক কে তার নীজ বাসার ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। হামলাকারীরা এতটা বেপরোয়া ছিল যে, ভিকটিমকে মারধর করেও ক্ষান্ত হয়নি বরং উপর্যপুরী ওমর ফারুকের বাড়ির গেট বন্ধ পেয়ে গেটে লাথি ও ৩য় তলার বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এতে ওমর ফারুক ও তার পরিবারের লোকজন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ওমর ফারুক ও তার আত্মীয়-স্বজনদের ডাক-চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের ও ওমর ফারুকের আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় ভিকটিমকে মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে শাহআলী থানা পুলিশের একটি টিম মিরপুর দুই নম্বরে অবস্থিত ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরের দিন ২২/১০/২০২৩ তারিখ রবীবার সকালবেলায় মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: জসিম উদ্দিন মোল্লা, শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম ও শাহআলী থানার পরিদর্শক(অপারেশন) মো: হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা নিহত ওমর ফারুকের পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন- এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন, প্রত্যেককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ বিষয়ে শাহআলী থানায় ওমর ফারুকের মা জাহানারা বেগম(৬৬) বাদী হয়ে দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১৮/২৪৭। ইতিমধ্যে এজহার নামীয় দুই আসামি আবু হানিফ রনি, মো.সৌরভসহ ঘটনার সাথে জড়িত মেহেদী হাসান রাহাত নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহআলী থানা পুলিশ।

এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহত শেখ ওমর ফারুক এর মা ও মামলার বাদী জাহানারা বেগম সাংবাদিকদের জানান —আমার ছেলে ওমর ফারুক একজন শান্ত শিষ্ট ভদ্র ছেলে। সে কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিত না এবং সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতো। তার এই আপসহীন নীতি ও ন্যায়-নিষ্ঠা পরায়নতাই আজ কাল হয়ে দাঁড়ালো।পক্ষান্তরে, আসামিরা সবাই বকাটে, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত। আমার বাসার সামনে রাস্তার পাশে ভ্যানের উপরে দোকানদারি করা কিছু গরিব মানুষের কাছে উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবী করে আসছিল। বিষয়টি আমার ছেলে জানার পরে আসামিদেরকে এ সমস্ত গরিব মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা না নেওয়ার জন্য বলে এবং এ নিয়ে আসামিদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।এটাকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৯.৪০ ঘটিকার দিকে আমার ছেলে তার গাবতলীর মটর পার্টসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় আসার পথে বাসার অদূরেই আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার ছেলের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি আমার বুকের ধন ওমর ফারুককে হারিয়ে ফেলেছি। ওমর ফারুকের তিন তিনটা ছোট ছোট সন্তান অল্প বয়সে তার বাবাকে হারিয়ে ফেলে এতিম হয়ে গেল। আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই আমি ওদের সকলের ফাঁশি চাই।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কামাল ফকির নামে একজন জানান – ঘটনার সময়ে ওমর ফারুক তার মোটরসাইকেলের উপর বসা ছিল এবং উল্লেখিত আসামিরা তার সাথে কথা বলতে ছিল। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ তারা ফারুকের গায়ে হাত তোলে এবং চর-থাপ্পর মারতে শুরু করে। পরে আমি, আমার ছেলে রিফাত ও আমার স্ত্রী দৌড়ে গিয়ে তাদের হাত থেকে ফারুককে উদ্ধার করে বাসায় পাঠিয়ে দেই।পরে তাদের বাসার সামনে কি ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।
এই হত্যাকান্ড বিষয়ে শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ হত্যাকান্ডের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি এবং এর সাথে যে বা যারা যতটুকু জড়িত থাকুক না কেন, তাদের প্রত্যেকটি বিষয় কে আমলে নিয়ে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবো। ইতিমধ্যে, এই মামলার এজাহার নামীয় দুইজন সহ মোট তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।