শেরপুরের নকলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দৌলত মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষক।
দৌলতের বাড়ি টালকী ইউনিয়নের বিবিরচর দক্ষিণ গ্রামে। তার পিতার নাম সোহরাব আলী।
২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন দৌলত।
সংবাদ সম্মেলনে দৌলতের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর ভাতিজি রোজিনা বেগম (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির তজুমদ্দিনের ছেলে খোকন মিয়া (৩০) ও রোকন মিয়া (৩৫), আফাজ উদ্দিনের ছেলে শিবলু মিয়া (২৭), আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (৪০) ও রমিজ মিয়া (৪৩) এবং রমিজের ভাতিজা রিজন মিয়া (২৮) দৌলতের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে।
দৌলত জানান ইতিপূর্বে তাঁরা আমার প্রায় দেড় একর জমি বেদখল করে রেখেছিল। আমি আদালতে মামলা করে সে জমি দখলমুক্ত করেছি। ২০০৯ ও ২০১০ খ্রিস্টাব্দে তাঁরা আমার পরিবারকে আসামী করে থানায় চুরি ও হত্যা চেষ্টা এবং বাড়ি পোড়ানোর মামলা করে আমাদেরকে জেল খাটায়। পরবর্তীতে সে মামলাগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সম্প্রতি তাঁরা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নকলা থানায় মাছ চুরি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে এবং মিডিয়ায় মিথ্যা খবর প্রকাশ করিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার পরিবারের সম্মানহানি করছে।
একই গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির জাহেদ আলী (৮০), মোহাম্মদ আলী (৭০) এবং আব্দুস ছামাদ ফকির (৩০) জানান দৌলত ও তাঁর পরিবার খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাঁদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা ঠিক না।
মাছ চুরি নিয়ে থানায় অভিযোগকারী রোকন মিয়ার সহোদর ভাই খোকন মিয়া জানান চুরির অভিযোগটি মিথ্যা নয়।
টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল জানান মাছ চুরি নিয়ে দৌলতের পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের কথা শুনেছি। তবে অভিযোগটি সত্য নয়। আমি বিষয়টি আপসরফা করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া জানান মাছ চুরির বিষয়ে রোকন মিয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।