শেরপুরের নকলায় ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের এক রাতে দরজার তালা কেটে একটি খামার থেকে ৭টি গরু চুরি হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। আরেক বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে আরও ১টি গরু।
১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে গণপদ্দী ইউনিয়নের গণপদ্দী গ্রামে এবং নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লায় এসব চুরির ঘটনা ঘটে।
এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৫ দিনে চুরি হয়েছে আরও ৪টি গরু। এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার খামারী ও কৃষক। পুলিশের উপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন এলাকাবাসি।
৭টি গরু চুরি হওয়া খামার মালিকের নাম আলাল মিয়া (২৫) এবং ১টি গরু চুরি হওয়া গরুর মালিকের নাম মনির মিয়া (৩৫)। মনির পেশায় অটোচালক। আলাল মিয়া অনেক ধারদেনা করে খামারটি করেছিলেন। গরুগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় তাঁর এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
বিষয়টি নিয়ে আলাল ১৭ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নকলা থাকায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
খামার মালিক আলাল মিয়া জানান আমি অনেক টাকা ধারদেনা খামারটি করেছিলাম। খামারে ৪টি বড় ষাড়, ৪টি গাভী ও ১টি বকনা বাছু ছিল। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গরুগুলোর দেখভাল করে ঘরের দরজায় তালা লাগিয় শুতে যাই। ভোররাতে আমার মায়ের ডাকচিৎকারে খামারে এসে দেখি খামারের দরজার তালা কেটে কে কারা আমার ৭টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে ৩টি বড় ষাড় ৩টি গাভী ও ১টি বকনা বাছুর। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
গণপদ্দী গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন (২৮) ও আব্দুছ সাত্তার এবং নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লার কৃষক আব্দুল হানিফ (৫২) ও হামিদ উদ্দিন (৫২) জানান অতিসম্প্রতি গণপদ্দী গ্রামের নেকতার মিয়ার খামার থেকে ২টি ও দয়াল মিয়ার গোয়ালঘর থেকে ২টি গরু চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা টহলপুলিশের উপর ক্ষোভ করে বলেন পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকলে এভাবে একেরপর এক গরুচুরি হওয়ার কথা নয়। এলাকায় এভাবে গরুচুরি বাড়তে থাকলে খামার মালিক ও সাধারণ কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া ফোনে জানান আমি জরুরি কাজে শেরপুর আছি। গরু চুরির বিষয়ে থানায় একজন লিখিত অভিযোগ করেছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনই সাংবাদিকরা লেখালেখা শুরু করলে চোর ধরা ও চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে সমস্যা হবে। আমি শেরপুর থেকে এসে আপনাদেরকে তথ্য দিব।