ঢাকামঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকামঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নদ-নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অতিরিক্ত ঠান্ডায় আহরণ কমায় বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

জামাল কাড়াল বরিশা সদর
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪ ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বরিশাল নগরীর রুপাতলীতে গত কয়েকদিন মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ঘুরে বিগত সময়ের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ কম দেখা গেছে। তবে জাটকার ছড়াছড়ি ছিল। আজ শনিবার ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০, ৬০০-৯০০ গ্রামের ১৮৫০ এবং এক কেজির ইলিশ ২৫০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।বিগত মৌসুমগুলোর চেয়ে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ায় বরিশালের নদ-নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ কমেছে। ফলে যে মাছ আড়তে আসছে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৭০০ টন ইলিশ কম ধরা পড়েছে। আর বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচেই ছিল।বরিশাল পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের আড়তদার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশ নাই বললেই চলে। গত মাসে আরও কম ছিল। ১৫ দিন ধরে ৪০-৫০ মণের বেশি ইলিশ মোকামে ওঠে না। সাধারণত তিনটিতে এক কেজি এমন ইলিশ বেশি।’আড়তগুলোতে ইলিশের আহরণ কম থাকলেও নগরীর বাংলাবাজার, চৌমাথা বাজার, নতুল্লাবাদ বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে জাটকায় সয়লাব।নগরীর চৌমাথা বাজারের মাছ বিক্রেতা সোহেল খান জানান, নদী থেকে এসব জাটকা জেলেরা ধরে এনে তা আড়তে বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ সরাসরি খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু নদীতে এই মাছ ধরা বা শিকার করা থেকে জেলেদের যদি বিরত রাখা যেত তাহলে এই ইলিশ সম্পদ ধ্বংস হতো না।বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহিন আহমেদ বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গোটা জানুয়ারি মাসে এবার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচেই ছিল।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, তাপমাত্রা কমায় জানুয়ারিতে মাছ ধরা পড়েছে কম। ইলিশ ও পোয়া কম আহরিত হয়েছে। তাপমাত্রা যেখানে কম থাকে, সেখান থেকে মাছ সরে অন্যত্র চলে যায়।এই মৎস্য কর্মকর্তা জানান, গত জানুয়ারিতে ইলিশ ধরা পড়েছে প্রায় ২ হাজার ৯০০ টন। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৩ হাজার ৬০০ টন। অর্থাৎ গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এ বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৭০০ টন কম ইলিশ ধরা পড়েছে।এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, নদীতে জাটকা বেশি। এটি রক্ষা করতে পারলেই ইলিশ বাড়বে। বিগত কয়েক বছরে জানুয়ারিতে নতুন একটি সিজন শুরু হয়েছিল ইলিশের। কিন্তু এবার কেন কম তা খতিয়ে দেখতে হবে। অত্যধিক শীতের কারণেও ইলিশ কমতে পারে বলে জানান তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।