শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সকলের হস্তক্ষেপ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন এর প্রধান শিক্ষক মোহাঃ সাদেকুল ইসলাম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী “ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশন” ১৯১১ খ্রিঃ স্থাপিত জেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে জে,এস,সি ও এস, এস, সি পরীক্ষার ফলাফল ও বৃত্তি প্রাপ্তিতে বিদ্যালয়টির অবস্থান উপজেলার শীর্ষে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সবসময় খেলা করে আসছে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ গত (৪ এপ্রিল ২০২০) খ্রিঃ তারিখে শেষ হলে বিভিন্ন জটিলতার কারনে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। গত (১০ অক্টোবর ২০২৩ )খ্রিঃ তারিখে ৪র্থ বারের মত এডহক কমিটি গঠন করা হলে রাজনৈতিক চাপে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এডহক কমিটির সভাপতি করা হয়। এডহক কমিটির মেয়াদ গত (১০ এপ্রিল ২০২৪ ) খ্রিঃ তারিখে শেষ হয়েছে। গত (০৪ এপ্রিল২০২৪ )খ্রিঃ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলি হন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী মোঃ গোলাম রাব্বানি আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি প্রদর্শন করে। কুচক্রী কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে কে চাপ দেয় এবং হয়রানি করে। ইহাতে বিদ্যালয় পরিচালনা অত্যান্ত কঠিন হয়।
রহস্যজনক ভাবে গত (০৯ এপ্রিল২০২৪) খ্রিঃ সভাপতির স্বাক্ষরিত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়। কিছু কুচক্রি মহল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদ্বয় প্রতিষ্ঠানের কোন রেজুলেশন বহি ব্যবহার না করে নিজে মিটিং ডেকে সাদা কাগজে ইচ্ছামত অধিবেশন নং বসিয়ে কোরাম ছাড়া দুই জনে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন (সভাপতি ও অভিভাবক সদস্য)। যা বিদ্যালয় পরিচালনা নীতিমালা ২০০৯ এর ৩৯ (০৪) ও ৪১ এর ঘ (২) সম্পন্নরুপে নিয়ম বহির্ভূত।
গত (০৯ এপ্রিল২০২৪ ) খ্রিঃ তারিখে সকাল ১১ ঘটিকার সময় উক্ত এডহক কমিটি প্রধান শিক্ষককে কোরাম ছাড়া মিটিং করে এবং সাময়িক বরখাস্ত করেন। এহেন সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষককে কুচক্রি মহলের মদদপুষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্পূন্ন নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
অত্র প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষক গত (১৯৯৬ সালে ) মোহবুল্লাহ মহাবিদ্যালয় মাঠে সে সময়ের ছাত্র দলের নেতা কোরবান আলী বিএনপির নেত্রি খালেদা জিয়ার জনসভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে চোর বলেন এবং জননেত্রি দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আবার সেই কোরবান আলীকে অত্র প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষককে কুচক্রি মহলের মদদপুষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্পূন্ন নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
এহেন স্বার্থান্বেষী সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের তথা শিক্ষার মানকে ক্ষুন্ন করছে। শিক্ষা পরিবারের সকলের হস্তক্ষেপ ও এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোহাঃ সাদেকুল ইসলাম।
