যশোরের শার্শায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী রিতা রাণী (২১) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন গোলদার ও তাদের শিশু কন্যা এবং মোটরসাইকেল চালক আহত হয়েছে।
রোববার (৬ মে) দুপুর ১ টার দিকে নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা মবিল ফ্যাক্টারীর সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।নিহত রিতা রাণী সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের মিলন গোলদারের স্ত্রী এবং শার্শার গোড়পাড়া পোতাপুর গ্রামের কিনা মন্ডলের মেয়ে।
আহতরা হলো- নিহতের স্বামী মিলন গোলদার (৩০), তাদের শিশু কন্যা প্রিয়া (২) এবং মোটরসাইকেল চালক শ্যামনগর উপজেলার গড়কুমারপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস সানার ছেলে আসমাতুল্লা (৩৫)।
আহত মিলন গোলদার জানান, সকালে শ্যামনগর থেকে মোটরসাইকেলযোগে আমার শশুরবাড়ি শার্শার গোড়পাড়ায় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বাগআঁচড়া জামতলা মবিল ফ্যাক্টরীর সামনে পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর আমাদের চাপা দিলে আমরা ট্রাক্টরের চাকার তলায় চাপা পড়ি। এসময় আমার স্ত্রী মারা যায় এবং আমার ছোট মেয়েসহ আমরা আহত হলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নাভারণ হাইওয়ে থানার এস আই মফিজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। ট্রাক্টরটি পালিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে দিয়ে প্রতিনিয়ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব মাটিবাহী গাড়ি। পুলিশ প্রশাসন দেখে ও না দেখার ভান ধরে থাকে। এ মাটিবাহী গাড়িগুলো প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন কেঁড়ে নিচ্ছে তার পর কোনো টনক নড়ছে না প্রশাসনের। নাভারণ ও যশোর হাইওয়ের পুলিশ প্রতিনিয়ত সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল ধরে মামলা দেয়। কিন্তু তাদের সামনে দিয়ে এ মাটিবাহী ট্রাক্টরগুলো দাপিয়ে বেড়ালেও এ গাড়ির বিরুদ্ধে তারা কোন পদক্ষেপ নেন না। দিনের বেলা এই মরণঘাতী মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করতে এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।