নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া পৌরসভার মধ্যবাজারে দোকানের জায়গা দখল পাল্টা দখলের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে করে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। আহতরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। দুজন গুলিবিদ্ধের খবরও পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য কেন্দুয়া বাজারে একটি দোকান নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের সোহেল আমিন এবং দিগদাইর গ্রামের আলামিন খন্দকারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার আগের দিন সোহেল আমিনের দখলে থাকা দোকানটি আলামিন খন্দকার তালা মেরে দেন। পরদিন এই বিষয়টা নিয়ে চকবাট্রা গ্রামের বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন ভূঞার ও তার লোকজনের সাথে বচসা হয় এবং তা একপর্যায়ে দিগদাইর ও বাট্রা গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়।
জসীম উদ্দিন ভূঞা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ভূঞার বাবা এবং আলামিন খন্দকার যুবনেতা নাসির খন্দকারের বড় ভাই। দুজনই নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী গ্রুপের নেতা।
এবিষয়ে কেন্দুয়া পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শান্তি খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যা হয়ে গেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। সবাই শান্ত থাকা উচিত। স্হানীয় পর্যায়ের ঘটনায় বাট্রা গ্রামের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এনিয়ে বাজারের সাধারণ মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং আতঙ্কে আছেন।
ওদিকে উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক, নাসির খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিভিন্ন সাংবাদিক লিখেছেন আমি নাকি নিজে দোকান দখল করেছি গিয়ে অথচ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কিছু যুবদলের একটা দায়িত্বশীল জায়গা থেকে কখনোই আমি করতে পারিনা এবং তা আমার দলের আদর্শের সাথেও সংগতিপূর্ণ নয়। আমি এমন মিথ্যা অপবাদে খুবই দুঃখিত। সাংবাদিকরা সত্যি তুলে ধরুন।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার সরকার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জনের মত চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ওখানে দুজন গুলিবিদ্ধ আছেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্হা নেয়া হবে।