বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এক সমাবেশে বলেছেন, যারা বিএনপিকে কটাক্ষ করে নানা ধরনের মন্তব্য করেন, তাদের উদ্দেশ্যে একটি উদাহরণ দিতে চাই।
তিনি বলেন, “যারা মদের দোকানে মদ বিক্রি করে, তারা কিন্তু নিজেরা মদ পান করে না। তারা মানুষকে মদ খাইয়ে মাতাল করে। তেমনিভাবে, ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধার্মিক নয়, ধর্মভীরুও নয়। সত্যিকারের ধার্মিক তারাই, যারা প্রকৃত অর্থে ধর্মভীরু।” তিনি আরও বলেন, যখন বলা হয়, এক স্বৈরাচার বিদায় করে আরেক স্বৈরাচার আনা হচ্ছে কিংবা এক চাঁদাবাজকে উৎখাত করে আরেক চাঁদাবাজকে আনা হচ্ছে, তখন প্রশ্ন জাগে—কাদের উদ্দেশ্য করে এসব বলা হয়? তারা কি একমাত্র দেশপ্রেমিক? ১৯৭১ সালেও এমন কথা শোনা গিয়েছিল যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর তাদের ছাড়া আর কেউ দেশপ্রেমিক নয়। আজ ৫৩ বছর পর একই ধরণের কথা বলা হচ্ছে। তারা নতুন করে বিভাজন তৈরি করছে এবং জাতিকে বিভক্ত করছে।
হারুনুর রশীদ দাবি করেন, বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিরুদ্ধে যেসব অপকর্মের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলো সত্য হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের দলের পদও স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত ১৫-১৬ বছর ধরে চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকেছি। আমাদের সম্পত্তি দখল করা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। তবুও বিএনপি ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রয়োজন। তবে এটি বর্তমান সরকারের মনোভাবের উপর নির্ভর করছে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত না হয়, তাহলে আমরা ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করব এবং তার বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকব।
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সংকট মোকাবিলা করতে। আমরা সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করি। যদি তা না আসে, তবে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংকট আর দীর্ঘায়িত করতে দেওয়া হবে না, বলেন তিনি।