রাজধানীর মিরপুর কাফরুল থানার এলাকায় ক্লুলেস ছিনতাই ও খুনের ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার কারনে ! কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে, দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাফরুল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রেজাউল মুন্সি (৫৪) ও মোঃ মাসুদ রানা (৪১)।
গত রবিবার (৪ মে ২০২৫খ্রি.) দুপুর আনুমানিক ০২:৫৫ সময়, দারুসসালাম থানার গাবতলী বাস স্ট্যান এলাকায় থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
কাফরুল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. ভিকটিম মোছাঃ শরীফা জব্বার (৬৪) তার স্বামীর সাথে মোহাম্মদপুর হতে অটোরিক্সাযোগে তাদের মেয়ের বাসা বনানী যাচ্ছিলেন। তখন সকাল আনুমানিক ৬:১০ সময় মহাখালী বিএএফ শাহীন কলেজের প্রধান গেটের পূর্ব পাশে আনন্দ কনফেকশনারীর সামনের রাস্তায় পৌঁছালে হঠাৎ একটি প্রাইভেটকারযোগে ২/৩ জন, ছিনতাইকারী শরীফা জব্বারের হাতে থাকা ভ্যানিটিব্যাগ ধরে টানা হ্যাসটা টান মারে। মোছাঃ শরীফা জব্বার আচমকা টানে রাস্তায় পড়ে যান এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছিনতাইকৃত ব্যাগের মধ্যে একটি নোকিয়া বাটন মোবাইল ফোন, একটি ওয়ান প্লাস মোবাইল ফোন, কালো রঙের একটি স্যামসাং ট্যাব, বাসার চাবি ও কিছু টাকা ছিলো। এ ঘটনায় কাফরুল থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি রুজুর পর কাফরুল থানার একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গত রবিবার (৪ মে ২০২৫খ্রি.) দুপুর আনুমানিক ২:৫৫ ঘটিকায় দারুসসালাম থানাধীন গাবতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি নোকিয়া বাটন মোবাইল ফোন, একটি স্যামসাং ট্যাব ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১২-২৬৭২) উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ছিনতাইসহ খুনের ঘটনায় সাথে সরাসরি জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।