সিলেটের ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম (৫০) এর মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল আসলে কথাবার্তার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে একটি সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। তারা কম দামে ডলার বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে চেতনা নাশক খাইয়ে বাইরে ডলার আর ভেতরে সাদা কাগজের বান্ডেল বুঝিয়ে দিয়ে সাড়ে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিলে তিনি বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানার মামলা নং-০৬ , তারিখ-২২/১১/২০২৩ ধারা : ৪০৬/৪২০/৩২৮/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুভাশীষ ধর এবং জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার এর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর ও কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন ১- রাজু মিয়া (৫০)পিতা-মৃত ময়না মিয়া, সাং- কেশবপুর, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ, ২- আবুল মিয়া (৫০)পিতা-মৃত রহিম উদ্দিন, সাং- ফেরীরচর, থানা- মোহনগঞ্জ, জেলা- নেত্রকোনা ৩- সমলা বেগম (৪০)স্বামী- মুহিত মিয়া, পিতা- মকতুল হোসেন, স্থায়ী সাং- ইসহাকপুর, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমান সাং- থানা বাজার, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- সিলেট৪-আনারকলি (৩০)স্বামী- বাক্কার মিয়া, আবু বকর, পিতা- বাচ্চু মিয়া, স্থায়ী সাং- ডোহাজোড়া, থানা- মিঠামইন, জেলা- কিশোরগঞ্জ, বর্তমান সাং- টুকেরবাজার, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- সিলেট ৫-নেছাফুল বেগম (৬০)স্বামী-মৃত আমির উদ্দিন, পিতা-মৃত লাল মিয়া, স্থায়ী সাং- ইসহাকপুর, বর্তমান সাং- হবিবনগর, থানা- জগন্নাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ। তাদের নিকট হতে মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ সহ মামলার বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।