সন্দ্বীপে জামিনের টাকার দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে একজন খুন হয়েছে। খুন হওয়া ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম আইয়ুব (৬২)। তিনি উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে দৌলতের বাড়ির মৃত মো.আবদুল্লাহর পুত্র। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো.সাহাবউদ্দিন সুমন পলাতক রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীর আলম সকাল থেকে তার বাড়িতে কাজ করছিলেন। দুপুরে সাহাবউদ্দিন সুমন সহ কয়েকজন জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে কথাবার্তার একপর্যায়ে সাহাবউদ্দিন সুমন লোহার রড দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মাথার পিছনে আঘাত করতে জাহাঙ্গীর আলম সেখানেই চিৎকার করে লুটিয়ে পড়ে।
স্বামীর চিৎকারের শব্দ শুনে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে সাহাবউদ্দিন তার সহযোগী সহ একটি মোটরসাইকেল করে জাহাঙ্গীর আলমকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে সুমন জাহাঙ্গীরকে সন্দ্বীপ গাছুয়া সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, জাহাঙ্গীরের সাথে প্রতিবেশী তাহেরের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাহের জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করায়। মামলায় জাহাঙ্গীর গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে সাহাবউদ্দিন সুমন তার জামিন করান।
জামিনের খরচ বাবদ সাহাবউদ্দিন সুমন জাহাঙ্গীর আলমের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। জাহাঙ্গীর অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে। দাবির বাকি টাকা নিয়ে সুমন ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই টাকার জের ধরে জাহাঙ্গীরকে সুমন আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। এদিকে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান,
পাওনা টাকা চাওয়ায় দুর্বৃত্তরা লাঠি দিয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় আঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ সাড়াশী অভিযান চালাচ্ছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।