ঢাকামঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ঢাকামঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. ইসলাম
  7. এশিয়া
  8. কলাম
  9. ক্রিকেট
  10. খেলা
  11. চাকরী
  12. জাতীয়
  13. জেলা
  14. জেলা সংবাদ
  15. নিয়োগ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১২৬০ টি ইটভাটার বিভিন্ন জায়গার মালিকদের অভিযোগ দায়ের করেন যে, এরা ভ্যাট, ট্যাক্স, ইত্যাদি আয়কর নেওয়ার পরে ইটভাটার ক্ষতিগ্রস্থ করেন কেন

রমজান আহম্মেদ (রঞ্জু), ব্যুরো চীপ, বরিশাল
জানুয়ারি ২৬, ২০২৫ ১:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বরিশাল :  পরিবেশ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে জানতে চাইলে, বলেন যে আপনারা সঠিক ভাবে তথ্য নিরসন করে সংবাদ প্রকাশিত করেন। আমরা তাদের অবৈধ ইটভাটার আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

বরিশাল বিভাগের ১২৬০ টি ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ড্রামচুঙ্গা সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা দেশের আয়কর ফাঁকি দিয়ে হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে দৈনিক জবাবদিহি সংবাদ প্রকাশিত করা হলে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ডিসি মহোদয় ইটভাটার মালিকদের হয়রানি, ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিছু ভাটা মালিক ঋণ ও দাদনের বোঝা থাকায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ফলে আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার দিন কাটছে তাদের। জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ২০১৯ সালে টনপ্রতি কয়লার দাম ছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা। তিন বছরে চারগুণ বেড়ে বতমানে সে কয়লার দাম ২১ হাজার টাকা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে কয়লার অংশই কম । বেশি দাম দিয়েও কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বেশি দামে কেনা কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হলে খরচও বাড়বে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,

জেলার প্রায় ১২৬০ টির মতো ইটভাটা রয়েছে এবং তার মধ্যে অবৈধ ইটভাটা সংখ্যা রয়েছে ৪০০টির মতো। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকায় কয়েক বছর ধরে অর্ধেকের বেশি ইটভাটায় কয়লা পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে।

জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দোয়ারিকা, এলাকার হেমায়েত উদ্দিন বাদল জানান, কার্তিক মাস থেকে ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু কয়লা সংকট কারণে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলে তাদের ইটভাটা চালু সম্ভব হয়নি। ব্যবস্থাপক মো. সেলিম জানান, কয়লার দাম চড়া। কিন্তু বেশি দামে কেনা কয়লা দিয়ে পোড়ানো ইট তাদের আগের দরেই বিক্রি করতে হবে।

এদিকে কিছু অসাধু দৈনিক শত শত সাংবাদিক মালিকদেরকে হুমকি দুমকি দিয়ে বেড়ায়। প্রায়শই মালিকদের অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেটা কোন ধরনের তোয়াক্কা করেন না। এবং কিছু অসাধু সাংবাদিকরা মালিকদের অভিযোগ দিলে, এরা মালিকদের চাপ সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতরনামূলক কাজ দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে।

এরা ভুয়া সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কোন ট্রেন্ডার হচেছ না এবং তারা প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্থের মোকাবেলায় সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তারপরও আরো অভিযোগ থাকে যে, ইটভাটার মালিকরা শ্রমিকদের বড় অঙ্কের দাদন দিলে কিছুদিন কাজ করার পরে রাতের আঁধারে পলায়ন করে। এদের ব্যাপারে দৃষ্টি আকষন করছি সকল প্রশানিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

প্রতিবেদন দিলে তারা নিমেশেই সম্মান হারা হচ্ছে। সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করা উচিত। সেই দরে ক্রেতা পাওয়া যাবে না। এতে ইটভাটার মালিকের মূলধন হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে অনেকেই এবার ইটভাটা চালু করেনি। তিনি আরও বলেন, কয়লার দাম কমার অপেক্ষা ছিলাম। কিন্তু দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।

উল্টো কয়লার সংকট। মালিক ব্যবসা টিকেয়ে রাখতে চড়া সুদে ব্যাংক ঋণ নিয়েছেন। তাছাড়া অনেক ক্রেতার কাছ থেকে ইট বিক্রির অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছে। তারাও ইট নেওয়ার জন্য বার বার তাগাদা দিচ্ছেন। তাই কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ শুরু করেছি। ফাইন ব্রিকসের মালিক মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, কয়লার দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। ওই দামে কয়লা কিনে ইট পোড়ানো হলে খরচ বাড়বে।

এক হাজার ইটের দাম হবে ১০,৮, ৯, ১১ ও ১২ হাজার টাকা। অবৈধ ইটভাটার মালিকরা ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে বৈধ ইটভাটা মালিকদের ক্ষতিগ্রস্থ করে। এবং তারা সরকারি ভ্যাট, আয়কর, রাজস্ব । অন্যদিকে কয়েক বছর ধরে ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় ধার-দেনা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বিভাগের বিভিন্ন বৈধ ইটভাটার মালিকদের ইটভাটায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে তাদের মনে প্রানের কথা শুনে দেখা যায় তারা অনেক কষ্টে রয়েছে। কিন্তু অবৈধ প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকগণেরা কাউকে কোন ধরনের তোয়াক্কা করেন না।

বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় এডিট করার পরে অভিযোগ দায়ের করেন যে, এরা ভ্যাট, ট্যাক্স, ইত্যাদি আয়কর নেওয়ার পরে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।

বরিশাল বিভাগের ১২৬০ টি ইটভাটার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জানান, করোনার কারণে এ খাতে বড় ধাক্কা লেগেছে। সেই সঙ্গে গত তিন বছরে কয়লার দাম বেড়েই চলছে। যার ফলে এ ব্যবসা গত দুই বছর ধরেই নিম্নমুখী। এ বছরে এসে চারগুণ বেড়ে বর্তমানে সেই কয়লার টন ২১ হাজার টাকা উঠেছে।

অথচ ২০১৯ সালে টন প্রতি কয়লার দাম ছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা। তিনি বলেন, আগস্ট মাস থেকেই কয়লা কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গার আমদানিকারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গত কয়েকদিনে কয়েকজন আমদানিকারকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। কয়লার সংকট থাকায় আমদানি কমে গেছে। ডলার সমস্যার কারণে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না। সব মিলিয়ে বলা যায়, ইটভাটা মালিকরা কঠিন দুঃসময় পার করছেন। জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির একাংশের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু জানান, কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে অধিকাংশ ইটভাটা চালু করতে পারছেন না মালিকরা। তাছাড়া কয়লা সংকট। সব জায়গায় ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে, একই অভিযোগ। এমনিতেই ইট ভাটার মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থের পথে। বিষয়টি ইটভাটা মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হয়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশালের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে জানান, ইট তৈরির মৌসুম শুরু হয়েছে।

এরমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ইটভাটা মালিকদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে যাদের লাইসেন্স আছে, তাদের নবায়ন করাতে বলা হয়েছে। যাদের পরিবেশ ছাড়পত্র নেই,

তাদেরকে শর্ত মেনে ছাড়পত্র নিয়ে ভাটা চালু করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইটভাটা মালিকদের কয়লা না পাওয়ার সমস্যার বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার সহ ডিসি মহোদয়কেও জানানো হয়েছে। কয়লা না পেলে কাঠ বা ভিন্ন কিছু পুড়িয়ে ইট তৈরির সুযোগ নেই।

কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর প্রেস ক্লাবের মাননীয় সভাপতি, সেক্রেটারি বৃন্ধদের ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগনদেরকে জানানো হচ্ছে যে, এরা আমাদেরকে এভাবে কোন ধরনের হয়রানি না করে তার জন্য আপনার প্রতি দৃষ্টি কামনা করছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।